আমরা জানি বিদেশে পড়াশুনা কিংবা ইমিগ্রেশনের জন্য সর্বপ্রথম নিজেকে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাই করা প্রয়োজন হয়। এই পরীক্ষার স্কোরের ওপর ভিত্তি করে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তিও প্রদান করে থাকে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বহুল প্রচলিত গ্রহণযোগ্য দুটি হচ্ছে IELTS ও TOEFL এছাড়াও আরো একটি পরীক্ষা রয়েছে তা হয়তো অনেকেই জানি না। এটিও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, যার নাম হচ্ছে পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ বা সংক্ষেপে পিটিই। তাই আজকের ইনফোতে “পিটিই কি? What is PTE? কারা কেন কিভাবে পরীক্ষা দিবেন?” বিস্তারিত জানুন।
যাদের মাতৃভাষা
ইংরেজি নয় তাদের মূলত ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাই করা প্রয়োজন হয়। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত
পরীক্ষাগুলো হচ্ছে আইইএলটিএস, টোয়েফল, পিটিই ইত্যাদি। আমরা ইতিমধ্যেই আমরা ”আইইএলটিএস
কি?” এবং ”টোয়েফল
কি?” আলোচনা করেছি। এখানে PTE সম্পর্কে
কিছু তথ্য তুলে ধলা হলো।
পিটিই কি? What is PTE?
পিটিই হচ্ছে
একটি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা যা বাংলাদেশে ২০১৬ সালে পিয়অরসন নামের একটি
আন্তর্জাতিক শিক্ষা পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের অধীনে যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশে এটি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করলেও অনেক আগে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
অন্যান্য
ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা থেকে এই পরীক্ষার ভিন্নতা হচ্ছে, এটি পুরোই কম্পিউটার
ভিত্তিক। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে পুরো পরীক্ষাটি পিয়ারসনের তৈরি একটি সফ্টওয়ারের
মাধ্যমে ডেস্কটপ কম্পিউটারে নেওয়া হয়।
পরীক্ষা চলাকালে
মানুষের কোন হস্তক্ষেপ থাকে না। নাম্বার দেওয়া সহ সবকিছু এই সফ্টওয়ার নিয়ন্ত্রণ করে
থাকে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এর গ্রহণযোগ্যতা
রয়েছে। বর্তমান সময়ে অস্ট্রোলিয়া, কানাড, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডসহ
বেশ কয়েকটির দেশের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি ক্ষেত্রে ”আইইএলটিএর” ও “টোয়েফল”
ছাড়াও পিটিই কে বেচে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে
পিটিই তেমন পরিচিত হয়নি এখনো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড বিজনেস স্কুল, ইয়ের ইউনিভার্সিটি
থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় পিটিই স্কোরকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
পিটিই সম্পর্কে
বিস্তারিত জানা যাবে পিয়ারসনের ওয়েবসাইটে - https://pearsonpte.com
PTE পরীক্ষার ধরণ বা পরীক্ষা ফরম্যাট কি?
অন্যান্য
পরীক্ষাগুলো থেকে এখানে অনেকটাই আলাদা হয়ে থাকে। এর চারটি মডিউল তথা স্পিকিং, রাইটিং,
রিডিং ও লিসেনিং ক্রমে সাজানো থাকে। তিনটি পার্টে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
পার্ট-১:
স্পিকিং ও রাইটিং সেকশন
পার্ট-২:
রিডিং সেকশন
পার্ট-৩:
লিসেনিং সেকশন ইত্যাদি।
এই পরীক্ষা
একটানা ৩ ঘন্টায় শেষ হয়। পরীক্ষার মোট নাম্বার ৯০ এর মধ্যে দিতে হয়। এখানে
বিশেষ লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, প্রতিটি মডিউলে কিছু টাস্ক অন্য একটা মডিউলে আংশিক স্কোরিং
করে।
আপনি যখন
স্পিকিং টেস্ট দিচ্ছেন তখন এমনও কিছু টাস্ক থাকবে, যেখানে ছোট ছোট ইংরেজি প্যাসেজ দ্রুত
পড়তে হচ্ছে কিংবা কিছু বাক্য শুনে সেগুলো আবার বলতে বলা হচ্ছে।
অর্থাৎ স্পিকিং
টেস্ট এর ভিতর অন্যান্য মডিউল ( রিডিং ও লিসেনিং) এর কিছু টাস্কও করা হচ্ছে। তাই এগুলো
সংশ্লিষ্ট সেকশনে স্কোরিং করতে প্রভাব ফেলে।
কিভাবে পিটিই (PTE) প্রস্ততি নিবেন?
পিটিই এর
প্রস্ততি নেওয়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, এটি একটি কারিগরি পরীক্ষা, যার অনেক খুঁটিনাটি
রয়েছে। কম্পিউটারের পর্দায় আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে। তাই এগুলোর উপর দক্ষতা বাড়িয়ে
প্রস্ততি নিতে হবে।
এরজন্য সবচেয়ে
ভালো উদ্যোগ হচ্ছে কোন একজন বিশেষজ্ঞ পিটিই প্রশিক্ষকের অধীনে PTE এর কোর্স করে নেওয়া।
আপনি যদি
নিজে নিজে প্রস্ততি নিতে চান, তাহলে প্রথমেই পিটিই সম্পর্কে একটি পরিস্কার ধারণা নিন।
এই কাজটি সহজ করার ক্ষেত্রে পিয়ারসনের প্রাকটিস টেস্ট প্লাস: পিটিই একাডেমিক বইটি আপনার
জন্য সহায়ক হবে।
আরো জানুন:
ফুলব্রাইট
স্কলারশিপ কি? আবেদনে যোগ্যতা ও আবেদনের নিয়ম কি?
ঘরে বসে কারিগরি শিক্ষা
কিভাবে গ্রহণ করবেন?
বাংলাদেশ সিভিল
সার্ভিস কিংবা বিসিএস ক্যাডার কি?
যে কোন প্রত্যায়নপত্র
অনলাইনে পাবেন কিভাবে?