বিদেশ যাওয়ার পূর্বে কি কি বিষয় নিশ্চিত হওয়া জরুরী?

আজকের বিষয়টি হচ্ছে তাদের জন্য যারা বিদেশে চাকরি বা ক্যারিয়ার গড়তে চান। কেননা বিদেশ যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভিসা, ছাত্রপত্র, প্রষেণপত্র ইত্যাদি। তাই এই ইনফোতে “বিদেশ যাওয়ার পূর্বে কি কি বিষয় নিশ্চিত হওয়া জরুরী?” বিস্তারিত জানুন।

বিদেশ যাওয়ার পূর্বে কি কি বিষয় নিশ্চিত হওয়া জরুরী?

বিদেশে চাকরি করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যে ছাড়পত্র নিতে হয় তাকে বহির্গমন ছাড়পত্র বলে। বাংলাদেশ থেকে এই ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য দুইভাবে আবেদন করতে পারেন।

সাধারণত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে বহির্গমন ছাড়পত্রের (Emigration Clearance) জন্য আবেদন করা হয়। অন্যটি হচ্ছে আপনি যদি নিজ উদ্যোগে কিংবা আত্নীয়—স্বজনের মাধ্যমে ওয়ার্ক-পারমিট/এনওসি/এন্ট্রি-পারমিট সংগ্রহ করেন তাহলে বাংলাদেশ কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে।

 

কোথায় কিভাবে ছাড়পত্র সংগ্রহ করবেন?

বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস রয়েছে। এই অফিস থেকেই আপনাকে বহির্গমন ছারপত্র (স্মার্ট কার্ড) নিতে হবে।

জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে নিবন্ধনকৃত কার্ড পেতে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। এগুলোসহ অফিসে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে এবং ফিঙ্গার দিতে হবে।


ছাড়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

** ভিসার পৃষ্ঠাসহ পাসপোর্টের প্রথম ছয় পৃষ্ঠার ফটোকপি

** মূল ভিসা এ্যাডভাইস/এন্ট্রি-পারমিট/এনওসি ও ফটোকপি

** ব্যাক্তিগত অঙ্গিকার নামা (১৫০/০০ টাকার নড-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে দিতে হবে)

** পেশাজীবির ক্ষেত্রে সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত/ রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা থেকে রিলিজ অর্ডার বা প্রষেণপত্র লাগবে

** অনাপত্তি পত্র (একক ভিসার বিদেশগামী মহিলার ক্ষেত্রে আইনানুগ অভিভাবক থেকে ১৫০/০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অনাপত্তি পত্র দিতে হবে)


আরো জানুন: 

বিদেশ যাওয়ার জন্য করণীয় কি? চাকরি বা কাজের জন্য বিদেশ যাবেন কিভাবে?

বিদেশে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কি করবেন?

প্রবাসী থেকে ভোটার হবেন কিভাবে?

ওয়েস্টার্ন ইয়নিয়ন কি?

 

বিদেশ যাওয়ার পূর্বে কি কি বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিবেন?

বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে নিম্নলিখিত কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিদেশে যাওয়ার ডকুমেন্টগুলো হচ্ছে-

** আপনার পাসপোর্ট (অনলাইনে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন কিভাবে জানুন এখানে)

** চাকরির চুক্তিপত্র

** আপনার নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলা

** যে দেশে যাবেন সেই দেশের বাংলাদেশী দূতাবাসের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার

** ভিসা

** জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র (স্মার্টকার্ড)

** মেডিকেল রিপোর্ট

** টিকিট

** টাকা প্রদানের রশিদ ও চুক্তিপত্র পরিক্ষা করে দেখবেন।

চুক্তপত্রের কোন বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখবেন?

বিদেশে চাকরির জন্য যে চুক্তিপত্রে সই করবেন সেটি ভাল করে পড়ে নিবেন। পরীক্ষা করার বিষয়গুলো নিম্নরুপ:

** চাকরির নাম

** কোম্পানির নাম কিংবা চাকরিদাতার নাম ও ঠিকানা

** কর্মক্ষেত্র

** চাকরির মেয়াদ কিংবা চুক্তির মেয়াদ

** মাসিক স্যালারি (বেতন অবশ্যই মনমতো কিনা যাচাই করবেন)

** ছুটি ও সামাজিক নিরাপত্তা

** নিয়মিত কর্মঘন্টা ও সাপ্তাহিক ছুটি

**  যাওয়া ও আসার বিমান ভাড়া

** ওভার-টাইম

** বাৎসরিক ছুটি

** বেতনসহ ছুটি নাকি বেতন ছাড়া ছুটি

** অসুস্থতার ছুটি (মেডিকেল ছুটি)

** মেডিকেল কিংবা স্বাস্থসেবার সুবিধা

** কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত অসুস্থতা বা মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ

** যাতায়াত ভাড়া

** খাবার ভাতা

** বাসস্থান ভাতা

** বিদেশে মৃত্যু হলে লাশ পাঠানোর ব্যবস্থা ইত্যদি।


যাত্রা শুরু করবেন কিভাবে?

প্রথমবারের মতো যাত্রা করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। যেখানে যাচ্ছেন সেখানে কেউ পরিচিত প্রবাসী রয়েছে কিনা দেখুন। তার সাথে কথা বলুন। এতে করে আপনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়ে যাবে। বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আন্তার্জাতিক বিমান বন্দর হয়ে যেতে হবে। বিমান বন্দরে কিভাবে যাত্রা করবেন তার বিস্তারিত জানতে “বিমান যাত্রার আদব-কায়দা অর্থাৎ বিমানে যাত্রার সময় কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ নয়?” ইনফোটি দেখুন।

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.