ইউটিউব এসইও (YouTube SEO) কিভাবে করবেন? ইউটিউব ভিডিওতে SEO না করলে কি হয়?

Home BD info
1

বর্তমান সময়ে বেকার সমাজের কাছে ইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় একটি ব্যবসায়িক মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে। অনেকেই এখন বিভিন্ন বিষয়ের উপর ইউটিউব চ্যানেল খুলে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। নতুন প্রজন্মও এই বিষয়ে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে সঠিক গাইডলাইনের অভাবে অনেকেই সফলতা অর্জন করতে পারছে না। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয় করার চিন্তা করেন, তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য অত্যান্ত জরুরী। কেননা সফলতা পেতে হলে জানতে হবে ইউটিউব এসইও (You Tube SEO) কি? ইউটিউব ভিডিও গুলোতে এস ই ও (SEO) কিভাবে করা হয়?

ইউটিউব এসইও (YouTube SEO) কিভাবে করবেন? ইউটিউব ভিডিওতে SEO না করলে কি হয়?

You Tube ভিডিওতে SEO করা জরুরী কেন? অর্থাৎ ইউটিউব এসইও না করলে ভিডিওতে ভিজিটর আসে না কেন? একজন ইউটিউবারকে এই বিষয়ে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ (You Tube seo tutorial bangla)

 What is SEO?

What is video seo? আমরা যখন ভিডিও ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে তাতে আপলোড শুরু করি তখন থেকেই ভিডিওগুলোতে SEO করা জরুরী হয়ে পড়ে। কেননা আপনি যদি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলোতে এইইও না করেন তাহলে আমি ১০০% নিশ্চিত যে, আপনার আপলোড করা ভিডিওতে ভিজিটর খুব কম কিংবা একদম কেউ দেখবে না।

অনেকেই আমাদের কাছে জানিয়েছেন যে, আমার ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিটর আসছে না, কি করবো? আমার আপলোড করা ভিডিও গুলো কেন কেউ দেখছে না? কিংবা আমর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওগুলো Google সার্চ বা ইউটিউব সার্চ রেজাল্টে কেন শো করছে না? যারা এই বিষয়ে ইনবক্স করেছেন তাদেরকে জন্য আজকের এই ইনফোটি তৈরি করা হলো।

এছাড়াও উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যারা জানতে চান তাদেরকে বলছি, আপনার ইউটিউবের ভিডিও গুলোতে এস ই ও (SEO) ব্যবহার করছেন না কিংবা যদিও করছেন তা সঠিকভাবে হচ্ছে না। যার ফলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলোতে ভিজিটর আসছে না কিংবা আপনার ভিডিওগুলি গুগল সার্চ বা ইউটিউব সার্চ রেজাল্ট পেজে দেখাচ্ছে না।

এখন তাহলে উপায় কি? আপনার ভিডিওতে ভিজিটর না আসলে কি করবেন? কিংবা কি করলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ভিজিটরস বা ট্রাফিক আসবে? এটাই যদি আপনার প্রশ্ন হয়ে থাকে তাহলে এর সহজ উত্তর হলো SEO বা Search engine optimization এর সঠিক ব্যবহার।

অনেক ইউটিউবার ভিডিও তৈরিতে খুব বেশি যত্নশীল কিন্তু এস ই ও (SEO) তে তার তেমন আগ্রহী থাকে না। ফলে তার আপলোড করা ভিডিওগুলো খুব বেশি লোকজন দেখতে পারে না। তাই আসুন জেনে নেই সঠিকভাবে কিভাবে ভিডিও এইও করবেন?

 

এই লেখাটির মূল বিষয় হচ্ছে-

** ইউটিউব এসইও (You Tube SEO) কি?

** ইউটিউবের ভিডিওতে SEO করা জরুরী কেন?

** নিজের চ্যানেলের YouTube ভিডিওতে কিভাবে এস ই ও (SEO) করবেন?

 

ইউটিউব এসইও (You Tube SEO) কি?

ইউটিউব SEO বিষয়ের জানার আগে আপনাকে জানতে হবে SEO কি? কেননা SEO মানে হচ্ছে “সার্চ ইঞ্জিন Optimization” যার কাজ হচ্ছে অনলাইনে থাকা কনটেন্টগুলোকে সার্চ রেজাল্ট প্রথম পেজে রাখা। অর্থাৎ যে কোন কনটেন্ট যেমন ওয়েবসাইট, আর্টিকেল, ভিডিও বা যে কোন ফাইল সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে টপ ১০ টি রেজাল্টের মধ্যে দেখানো। সার্চ ইঞ্জিন বলতে আমরা সাধারণত “গুগল সার্চ”, ইয়াহু সার্চ এবং ইউটিউবের ভিডিও সার্চ বুঝে থাকি।

যেমন ধরেন, আপনি কোন সার্চ ইঞ্জিনে “ইউটিউব এসইও” বা এই ধরণের কিছু লিখে সার্চ করে এই লেখাটি খুঁজে পেয়েছেন। আপনি যদি এই লেখাটি সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে না পেতেন তাহলে পড়তেন কিভাবে? আর আপনি যেমন সার্চ করে খুজে পেয়েছেন তেমনি অন্য কেউ খুঁজে এটি পড়বে। ফলে লেখাটিতে অনেক ভিজিটর আসছে।

এখন আপনার মনে প্রধান প্রশ্ন হচ্ছে You Tube SEO নিয়ে হাজার হাজার আর্টিকেল রয়েছে। কিন্তু সেগুলো সার্চ করে না পেয়ে এই লেখাটি কেন খুঁজে পেলেন? অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে হাজার হাজার ব্লগ বা ওয়েবসাইট রয়েছে। তারা এই বিষয়ে আর্টিকেল লিখেছেন। তাহলে তাদের বাদ দিয়ে এই লেখাটি কেন খুঁজে পেলেন? কেন বাকি লোকদের এই বিষয়ে লেখাগুলো গুগল সার্চ রেজাল্টে প্রথম পেজে দেখানো হলো না?

এর কারণ হলো SEO এর সঠিক ব্যবহার । ফলে সার্চ ইঞ্জিন সহজে বুঝে গেছে যে,  সার্চ ইঞ্জিনে আপনি যে প্রশ্ন খুঁজছেন তার উত্তর এই লেখাটিতে ভালভাবে দেওয়া আছে । তাই আপনাকে এই লেখাটি সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে দেখানো হয়েছে। আর আপনি সহজেই এই ইনফোটি খুঁজে পেয়েছেন গুগল সার্চ ইঞ্জিনে।

অর্থাৎ আপনি কোন কিছু যখন ইন্টারনেটে জানতে চান, তখন কি করেন? ছট করে গুগলে সেই বিষয় লিখে সার্চ করেন। গুগল তখন ইন্টারনেট থেকে সেই বিষয়ে অধিক ও সঠিক তথ্য সমৃদ্ধ লেখার লিংক আপনাকে প্রদর্শন করে। আর আপনি লিংকে ক্লিক করে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে গুগল কি করে বুঝবে যে, আপনার লেখা/ ভিডিও বা অন্য কোন কনটেন্ট এ সার্চ করা বিষয়ে ভাল তথ্য রয়েছে? এই বিষয়টি বুঝানোর জন্য আপনার লেখা বা ভিডিওটিতে ভাল করে এসইও করতে হবে। যাতে গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো সহজেই বুঝতে পারে আপনার ভিডিও বা লেখাটি সম্পর্কে। সার্চ ইঞ্জিন যত ভালভাবে বুঝতে পারবে আপনার ভিডিও বা কোন কনটেন্ট তাহলে সে তত সহজেই মানুষের কাছে প্রদর্শন করতে পারবে। এমনকি ভাল হলে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে দেখাবে।

একইভাবে আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল বা ভিডিওতে সঠিকভাবে SEO না করেন, তাহলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন বা ইউটিউব সার্চ সঠিকভাবে আপনার ভিডিও সম্পর্কে ভালভাবে বুঝতে পারবে না। ফলে সার্চ রেজাল্টেও দেখাবে না। ফলে আপনার ভিডিও কেউ দেখবে না।

আর আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওতে সঠিকভাবে এস ই ও ব্যবহার করলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন বা ইউটিউবের ভিডিও সার্চ আপনার ভিডিও সম্পর্কে বেশি ভালো বুঝতে পারবে এবং ভিডিওর সাথে জড়িত কোনো শব্দকেও সার্চ করলে “You Tube ভিডিও সার্চে” আপনার ভিডিওটি সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজে থাকবে।

ফলে আপনার ভিডিও ফ্রিতে অনেক ভিজিটর বা ট্রাফিক চলে আসবে। অর্থাৎ সঠিকভাবে ভিডিও SEO করলে কোন প্রকার টাকা খরচ করা ছাড়াই হাজার হাজার মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে।

সুতরাং ইউটিউব ভিডিও SEO হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া বা নিয়ম যার সঠিক ব্যবহার করতে পারলে আপনার ভিডিও Google সার্চ এবং YouTube ভিডিও সার্চে ফলাফলের প্রথম পাতায় দেখাবে। অর্থাৎ সার্চ রেজাল্টের প্রথম দিকে থাকবে।

এরফলে আপনার নিজের ভিডিওতে অসংখ্যক ট্রাফিক বা ভিজিটরস জেনারেট হবে বা অসংখ্য মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে। সাধারণত এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে YouTuber রা নিজেদের ভিডিওতে হাজার হাজার ভিউস পেয়ে থাকবেন।

 

ইউটিউবের ভিডিওতে SEO করা জরুরী কেন?

YouTuber রা সাধারণত ভিডিও তৈরি করার আগে একটি টপিক বেচে নেন।  আপনি যখন ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড দিবেন তখন নিশ্চয় একটি টপিক বাচাই করে ভিডিওটি আপলোড দিবেন। কিন্তু কখনো কি খেয়ায় করে দেখছেন যে, যে বিষয়ে ভিডিও তৈরি করছেন সেই বিষয়ে ভিডিও আগে থেকে ইউটিউবে রয়েছে।

অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে ভিডিও বানাবেন সেই বিষয় বা টপিক একবার ইউটিউবে সার্চ করে দেখেন। সার্চ রেজাল্টে ইউটিউব আগের থেকেই অনেক ভিডিও দেখিয়ে দিবে। অর্থাৎ আপনি যে টপিকে বা বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন সেই একই বিষয় বা টপিকে আগে থেকে ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডিও রয়েছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যে বিষয় বা টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করছেন বা করবেন সেই বিষয় বা টপিকে আগে থেকেই অনেক ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে তাহলে আপনার ভিডিও বানানোর মানে কি?

আপনার ভিডিওকে কি ইউটিউব সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় দেখাবে যদি আগে থেকে তার কাছে আপনার ভিডিওর মতোই হাজার হাজার ভিডিও থাকে? অর্থাৎ আপনার টপিকে বা বিষয়ের উপর হাজার হাজার ভিডিও বাদ দিয়ে কি আপনার ভিডিওকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় দেখাবে?

এর সহজ উত্তর হচ্ছে না, ইউটিউব আপনার ভিডিওকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় দেখাবে না।

এজন্যই বর্তমান যুগটাক বলা হয় “Competition বা প্রতিযুগিতা” র যুগ। তাই আপনি যদি কেবল ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড দেন তাহলে কোন দিনই সেই ভিডিওতে ট্রাফিক বা ভিজিটর পাবেন না।

কেননা আগে থেকেই যেকোন বিষয় বা টপিকের উপর ইউটিউবের কাছে অনেক ভিডিও রয়েছে এবং YouTube তার সার্চ ব্যবহারকারীদের সেই ভিডিওগুলোকেই দেখাবে। তা ছাড়া আপনার ভিডিও সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিন জানতেও পারবে না যদি আপনি সার্চ ইঞ্জিনকে বলে না দেন, মানে যদি SEO না করেন।

এজন্য আপনাকে এসইও জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে। SEO অর্থ সার্চ ইজ্ঞিন অপটিমাইজেশন। এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে বোঝাতে সক্ষম হবেন যে, আপনার আপলোড করা ভিডিওটি হচ্ছে ইউটিউবে থাকা অন্যান্য ভিডিও থেকে আলাদা কিংবা ভালো।

অর্থাৎ আপনার চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওটি SEO করে ইউটিউব এলগোরিদম (YouTube algorithm) কে ভিডিওটি সম্পর্কে ভালকরে বোঝাতে পারবেন যে, আপনার আপলোড করা ভিডিওটি অনেক ভালো কিংবা যে টপিকে ভিডিওটি তৈরি করেছেন সেই বিষয়ে সবকিছু ভিডিওটিতে রয়েছে।

সোজাসোজিভাবে বলতে গেল, আপনার ভিডিওর বিষয়টি ইউটিউবকে ভালো করে বুষিয়ে দিতে পারবেন এই SEO করার মাধ্যমে। তাই ভিডিওর জন্য এসইও করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এর ফলে যখনি কেউ ইউটিউবে কিছু লিখে সার্চ করবে এবং সার্চের বিষয় বা টপিক যদি আপনার আপলোড করা ভিডিওটির সাথে ম্যাচ করে বা জড়িত থাকে তাহলে সার্চ রেজাল্টে ইউটিউব আপনার ভিডিওটি প্রথম দিকে দেখাবে। অর্থাৎ আপনার ভিডিওর রেঙ্কিং (ranking) ভালো হবে। কেননা আপনি ভিডিও SEO করার মাধ্যমে আগেই ইউটিউব কে ভালকরে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আপনার ভিডিওটি কিসের উপর বা কোন বিষয়ে তেরি করা হয়েছে।

এবং আপনি যদি ইউটিউব ভিডিও SEO না করেন, তাহলে YouTube কোনভাবেই বুঝতে পারবে না যে, আপনার আপলোড করা ভিডিওটি কোন বিষয়ের উপর কিংবা কখন আপনার ভিডিওটি লোকদের দেখানো উচিৎ। এসইও না করে ভিডিও আপলোড করে কোন দিনই সেই ভিডিওতে ভিজিটর বা ট্রফিক পাবেন না।

সুতরাং আপনি উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝে গেছেন যে, YouTube SEO কেন গুরুত্বপূর্ণ কিংবা ইউটিউবের ভিডিওতে SEO করাটা কেন জরুরী।


নিজের চ্যানেলের YouTube ভিডিওতে কিভাবে এস ই ও (SEO) করবেন?

এখন আমরা আলোচনা করবো কিভাবে ভিডিওতে SEO করা যায়। অর্থাৎ ভিডিও র‌্যাংকিং (Rank) করবেন কিভাবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য এই লেখাটি শেষ অবধি পড়ুন। কেনানা লেখাটিতে এই বিষয়ে সকল বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও শেষ অবধি না পড়লে ভিডিও এসইও বিষয়ে ভাল করে বুঝতে পারবেন না। ভিডিও এসইও কিভাবে করবেন তা জানার আগে ভিডিও তৈরি করতে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন তা আলোচনা করা যাক।

ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রথম যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো, যে টপিকের উপর আপনি ভিডিও তৈরি করবেন তা ইন্টারনেটে চাহিদা আছে কিনা বা চাহিদা থাকলে তার প্রতিযোগিতা কি রকম? তা ভিডিও তৈরি করার আগে জেনে নেওয়া। কেননা ইন্টারনেটে যে বিষয়ের উপর চাহিদা নেই সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করলে সেই ভিডিও কেউ দেখবে না।

অর্থাৎ আপনি কষ্ট করে ভিডিও তৈরি করে চ্যালেনে আপলোড করলেন এবং অনেক পরিশ্রম করে SEO করলেন। কিন্তু টপিকের উপর কারো আগ্রহ না থকলে সেই ভিডিও কেউ দেখবে না বা দেখছে না।

তাই, ভিডিও তৈরি করার সময় এমন টপিক বাচাই করবেন, যে গুলো মানুষ ইন্টারনেটে সার্চ করে। ইউটিউবে মানুষ কোন কোন বিষয় বেশি সার্চ করছে তা জেনে অর্থাৎ সেই topic এর উপর ভিডিও তৈরি করে চ্যালেনে আপলোড দিলে এবং ঠিকমতো Video SEO করলে অনেক অডিয়েন্স পাবেন।

 

কিভাবে জানবেন ইউটিউবে কোন টপিক, কীওয়ার্ড (Keyword) বা বিষয়ে বেশি সার্চ করা হয়?

ইউটিউবে লোকজন কোন বিষয়ে বেশি সার্চ করছেন কিংবা আপনি যে টপিকের উপর ভিডিও তৈরি করার কথা ভাবছেন সেই বিষয়ে লোকেরা সার্চ করছে কিনা তা জানতে পারবেন সহজেই কিছু অনলাইন টুল ব্যবহার করে।

গুগলে সার্চ দিলে এই রকম অনেক টুল পেয়ে যাবেন। তবে আমি এখানে দুটি অনলাইন কীওয়ার্ড টুলের আলোচনা করবো। যে দুটি টুল আমি ব্যবহার করি।

১) Keyword everywhere extention

2) Keywordtools web app

 

Keyword everywhere extention

এই টুলটি হচ্ছে একটি ব্রাউজার extention এটি আপনার কম্পিউটার/ল্যাপটপের Chrome Browser কিংবা Firefox Browser এই ইন্সটল করে নিন প্রথমে। এর পর ব্রাউজারে ইউটিউব ওপেন করে আপনার ভিডিওর বিষয় বা কীওয়ার্ড (Keyword) সার্চ বক্সে লিখুন। এতে দু ধরনের সুবিধা পাবেন।

Youtube SEO technique
You Tube seo technique.
প্রথমত যে সুবিধা 

এই এক্সটেনশন ইন্সটল করার পর ব্রাউজারে যে keyword (কীওয়ার্ড) বা বিষয় সার্চ করবেন সেই বিষয়ে অর্থাৎ আপনার কীওয়ার্ডের সাথে রিলেটেড বা সম্পর্ক যুক্ত এমন অনেক শব্দ বা keyword পেয়ে যাবেন, যেগুলো লোকজন ইউটিউবে সার্চ করে থাকে।

এই সদ্য পাওয়া কিওয়ার্ডগুলো আপনার চ্যালেনে আপলোড করে দিলে এবং ভিডিওতে ব্যবহার করে ভালো রেংকিং করাতে পারবেন। ‍SEO করার জন্য এটি একটি সহজ টিপস।

বিষয়টি ভালো করে বুঝার জন্য উপরের ছবিটি দেখুন, ইউটিউব সার্চ বক্সে কেবল 'You Tub SEO' লিখেছি, আমাকে সাজেশন করছে এই টপিকের লোকজন কি কি লিখে ইউটিউবে সার্চ করে। 

একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখুন, আমার লেখাটার সাথে অনেক লাভজনক keyword যেমন YouTube SEO Hindi, Youtube seo telugu, Youtube seo 2018, youtube seo tutorial ইত্যাদি। অর্থাৎ লোকেরা এগুলো লেখে ইউটিউবে সার্চ করে থাকে।

দ্বিতীয়তঃ যে সুবিধা পাবেন

এই এক্সটেনশন ইনস্টল করলে ভিডিওতে দ্বিতীয় যে সুবিধাটা তা হচ্ছে, সার্চ রেজাল্টের মিলে যাবার শব্দ ব্যবহার দেখানো হচ্ছে তার সার্চভ্যালু জানা যায়। কিওয়ার্ড এর ডানপাশে দেখবেন ছোট করে লেখা থাকে। যেমন- ৪০০০/mo এর মানে হলো এই শব্দ বা কিওয়ার্ডটি ইউটিউবে মাসে ৪০০০ বার সার্চ করা হয়।

অর্থাৎ কোন কিওয়ার্ড লোকজন কতবার মাসে সার্চ করে তার সংখ্যা জানা যায়। বেশি সার্চ করা টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করলে অবশ্যই লাভবান হবেন।

তাই ভিডিওতে SEO করার আগেই বা ভিডিওর বিষয় ঠিক করার আগে আপনার জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে, আপনি যে টপিকের উপর ভিডিও বানাতে চাচ্ছেন ইউটিউবে লোকেরা সেই টপিক নিয়ে মাসে কতবার সার্চ করে থাকে। আপনার টপিক বা কিওয়ার্ড মাসে কমপক্ষে ১০০০ সার্চ করে তাহলে সেই টপিক বা কিওয়ার্ড এর ভিডিও আপনার জন্য লাভ জনক হবে।

 Keywordtools web app কিওয়ার্ড টুলস ওয়েব অ্যাপ

Keywordtools web app কিওয়ার্ড টুলস ওয়েব অ্যাপ

ওয়েব টুলটির লিংক হচ্ছে- https://keywordtool.io এটিতে অকেক সুবিধা পাবেন। গুগল সার্চ ইঞ্জিন, ইউটিউব, বিং সার্চ ইঞ্জিন, গুগল ট্রেন্ড, গুগল ফটো ইত্যাদিতে কোন কিওয়ার্ড কি রকম সার্চ হচ্ছে কিংবা লোকজন কি লিখে সার্চ করছে সেটি জানতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি এই টুলটির পেইড ভার্সন ব্যবহার করেন তাহলে আরো অনেক সুবিধা নিতে পারবেন। ফ্রিতে শুধুমাত্র কিওয়ার্ড আইডিয়া নিতে পারেন ভালভাবে। এখান থেকে কিওয়ার্ড আইডিয়া নিয়ে গুগল কিওয়ার্ড টুলে এটির সার্চ ভ্যালু ফ্রিতে দেখে নিতে পারেন।


YouTube Video SEO করে র‌্যাংক (rank) করবেন কিভাবে?

উপরে আমরা আলোচনা করেছি ভিডিওর টপিক নিয়ে অর্থাৎ কোন কিওয়ার্ড বাছাই করে ভিডিও তৈরি করবেন। এখন আলোচনা করা হবে নিজের চ্যালেনে ভিডিও আপলোড করে এসইও করার মাধ্যমে ব্যাংকিং করবেন কিভাবে?

আপনার আপলোড করা ভিডিওটি যদি সার্চ রেজাল্টের প্রথম দেখা যায় তাহলে অসংখ্য ভিজিটর ভিডিওটি দেখবেন। সার্চ রেজাল্ট এর প্রথমে আপনার ভিডিওটিকে রেংক করাতে হলে ভালো করে SEO করতে হবে।

SEO করার ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, বর্তমানে যে কোন বিষয়ের উপর ভিডিও বানান না কেন তাতে কম্পিটিশন বা প্রতিযোগিতা থাকবেই। এতে আপনার আপলোড করা ভিডিও লোকজন খুঁজে পাবেনা। কেননা ইউটিউবে আগে থেকেই এই টপিকে অনেক ভিডিও রয়েছে।

ভাই আপনার ভিডিওতে ভিজিটর পেতে হলে অবশ্যই খুব ভালোভাবে SEO করতে হবে। আপনি যদি নিজের ভিডিওতে সঠিকভাবে Youtube video SEO প্রয়োগ করতে পারেন তাহলেই কেবল আপনার ভিডিও র‌্যাংক করবে অর্থাৎ প্রচুর লোকজন আপনার ভিডিও দেখবে।

নিচে বেশকিছু ভিডিও SEO টিপস তুলে ধরা হলো, যা প্রয়োগ করে নিজের চ্যালেনের ভিডিও র‌্যাংক বাড়াতে পারেন।


১. ভিডিও তৈরি করার সময় টপিক বা keyword ভাল করে বাছাই করা

ভিডিও তৈরি করার সময় টপিক বা কিওয়ার্ড বাছাই করবেন কিভাবে
Video SEO Optimization tips

ভিডিও এসইও করার ক্ষেত্রে প্রথম যে কাজটি, তা হচ্ছে ভিডিওটির টপিক বা কিওয়ার্ড সঠিকভাবে নির্ধারণ করা। এমন টপিক বা Keyword বাছাই করতে হবে, যে টপিক বা কিওয়ার্ড লোকজন ইউটিউবে বেশি সার্চ করে। 

নতুনরা প্রায় যেটা ভুল করে থাকে তা হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ না করে ভিডিও তৈরি করে চ্যালেনে আপলোড করা। ফলে আপলোড করা ভিডিওতে ভিজিটর পাওয়া যায় না। তাই ভিডিও তৈরি করার আগে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা জরুরী।

কিওয়ার্ড রিসার্চ করা কি?

কিওয়ার্ড রিসার্চ করা মানে হচ্ছে যে কোন টপিক সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেওয়া। যেমন- যখন আপনি কোন একটি টপিক নিয়ে অনলাইনে সার্চ করবেন। অর্থাৎ কিওয়ার্ড টুলগুলোতে সার্চ দিবেন দেখবেন উক্ত টপিকে লোকজন কি কি লিখে সার্চ করে। এই আইডিয়াগুলো নিয়ে আরো জানতে পারবেন যে, কোন কিওয়ার্ডটি সবচেয়ে বেশি সার্চ করে। যে বিষয়টি বেশি সার্চ করে সেই বিষয়ে মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি।

সুতরাং কিওয়ার্ড রিসার্চ করলে আপনার দুটি লাভ হবে। এক. যে টপিকের উপর ভিডিও তৈরি করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানা । দুই. কোন কিওয়ার্ড নিয়ে ভিডিও তৈরি করলে অধিক ভিজিটর পাওয়া যাবে।

কিওয়ার্ড আইডিয়া কিভাবে পাবেন?


ইউটিউবের টপিক কিভাবে খুঁজে পাবেন তা উপরে আলোচনা করেছি। এছাড়াও আরো কিওয়ার্ড আইডিয়া পেতে নিচের টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

কিওয়ার্ড বা টপিক বাচাই করার পর সেই Keyword টি মাসে কতটা সার্চ হয়, কিওয়ার্ডের সার্চ ভেলু জেনে নিবেন।

যে কিওয়ার্ডের সার্চ ভেলু অনেক কম, সেগুলো দিয়ে ভিডিও তৈরি করে লাভ হবে না। কেননা এই কিওয়ার্ডগুলো লোকজন সার্চ না করলে সেই ভিডিও দেখার আগ্রহ থাকে না ভিজিটরদের।




এই টুলগুলো ফ্রি ব্যবহার করে আপনার ভিডিওর জন্য অনেক লাভজন টপিক খুজে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, টুলগুলো আপনাকে সহায়তা করবে মাত্র। তবে টুল ছাড়া আপনি লাভজনক keyword খুঁজে নিতে পারবেন না।

আপনি যদি ফ্রি টুলগুলো ব্যবহার করে লাভজনক টপিক, বিষয় বা Keyword খুঁজে ভিডিও তৈরি করেন, তাহলে আশা করতে পারেন সেই ভিডিওতে ট্রাফিক বা ভিজিটর আসা শুরু হবে YouTube সার্চ এর মাধ্যমে।

এর ব্যতিক্রম করলে অর্থাৎ আপনি ভিডিও তৈরি করে চ্যালেনে আপলোড করতে থাকবেন, কিন্তু সেগুলো কেউ খুঁজে পাবে না।

সুতরাং ইউটিউব ভিডিও SEO এর প্রথম ধাপ (Step) হচ্ছে, লাভজনক টপিক বা বিষয় (Keyword) বাছাই করা বা খুঁজে বের করা এবং এর উপর ভিডিও তৈরি করা।

২. ভিডিও Description এবং Title এ বাচাই করা Keyword ব্যবহার

ভিডিও SEO করার জন্য সব থেকে জরুরী যে বিষয়টা তা হচ্ছে- Video optimization করা। ভিডিও Optimization করার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হচ্ছে Focused Keyword কে ভিডিওর Title ও description এ রাখা। নিচের স্ক্রিন শর্টটি দেখুন।

Video optimization
ইউটিউবের র‌্যাঙ্ক করা ৫ টি ভিডিও

ফোকাস কিওয়ার্ড "Video SEO" ভিডিও টাইটেল এবং ভিডিওর ডিসক্রিপশনে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভিডিওগুলো ইউটিউবের টপ র‌্যাংকিং এ অবস্থান করছে।

আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, Google বা YouTube ভিডিওর টাইটেল এবং ডিসক্রিপশন পড়ে বুঝতে পারে আপনার ভিডিওটি কিসের উপর বা ভিডিওর টপিক কি।

এখন আপনি যদি চান যে, আপনার ভিডিও YouTube বা Google তার সার্চ ইঞ্জিনে সব থেকে উপরে rank করুক, তাহলে আপনার চ্যালেনে আপলোড করা ভিডিওতে টাইটেল এবং ডিসক্রিপশনে সব থেকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যাকরি কিওয়ার্ডগুলো লিখে দিতে হবে।

এমনভাবে কিওয়ার্ড লিখে দিতে হবে যেন, খুব সহজেই ভিডিওর টাইটেল দেখে লোকেরা কিংবা Google/Youtube বুঝতে পারে আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু। তাই এই বিষয়গুলো লক্ষ করুন-

** চ্যালেনে আপলোড করা ভিডিও ডিসক্রিপশনে কমপক্ষে 250 থেকে 300 ওয়ার্ডে বর্ণনা দিবেন।

** ভিডিওর টাইটেল 25 শব্দের মধ্যেই দিয়ে দিবেন

** ফোকাস কিওয়ার্ড দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করবেন।

দৃষ্টিপাতঃ Focus keyword হচ্ছে, যে বিষয়ে বা যার উপর ভিত্তি করে ভিডিও তৈরি করছেন। যেমন ধরুন- আমি যদি একটি ভিডিও বানাই YouTube SEO এর উপর। তহলে ফোকাস কিওয়ার্ড হতে পারে-

·         YouTube SEO Bangla tutorial

·         ইউটিউবে SEO করবেন কিভাবে?

·         ইউটিউব এসইও টিপস

·         Youtube video SEO tips Bangla

এমন আরো অনেক কিওয়ার্ড রয়েছে। আপনার চাইলে ইউটিউবে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। উপবের কিওয়ার্ড কিভাবে খুজে বের করবেন তা আলোচনা করা হয়েছে।

সেই ট্রিকগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ভিডিওর কিওয়ার্ড বাচাই করে নিবেন।


 
আরো বিস্তারিত আসছে..........

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !