যেকোনো বাচ্চার ৬ মাস পার হলে বুকের দুধের পাশাপাশি বারতি খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন হয়।সেরেলাক যে বাচ্চাদের জন্য খুবই পুষ্টিকর তা আমরা সবাই জানি। অনেকেই বাজারের সেরেলাক খাওয়ান, কিন্তু সেগুলো আসলেই কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। আর বাজারো তৈরি সেরেলাক বাচ্চাদের পেটের সমস্যা করতে পারে । এছাড়াও এটি বেশ ব্যয়বহুলও। ঘরে তৈরি এই খাবারটি আপনার শিশুর জন্য খুবই উপকারী। এটি শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
তাই আজ দেখে নিন স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাড়িতেই কীভাবে সেরেলাক বানিয়ে নেওয়া যায়। এটি শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই সেরেলাকটি বানানোর সময় উপাদানগুলো আপনার শিশুর শারীরিক চাহিদা আনুযায়ী কমবেশি করে নিতে পারেন।
🥣 কেন ঘরে তৈরি সেরেলাক খাওয়াবেন?
✅ ১০০% প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি
✅ কোনোরকম প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যাল নেই
✅ শিশুর হজমক্ষমতা অনুযায়ী উপকরণ বেছে নেওয়া যায়
✅ তুলনামূলক কম খরচে স্বাস্থ্যকর খাবার
🥘 কী কী লাগবে?
🥣 উপকরণ
✅ চাল ও ডাল:
🥘 তৈরির নিয়ম:
🥄 বাচ্চাকে খাওয়ানোর নিয়ম:
1️⃣ এক কাপ দুধ ফুটিয়ে নিন।
2️⃣ ফুটন্ত দুধে ২ চা-চামচ সেরেলাক মেশান।
3️⃣ একটানা নাড়তে থাকুন, যাতে জমাট না বাঁধে।
4️⃣ পেস্টের মতো ঘন হলে নামিয়ে নিন। প্রয়োজনে আরও দুধ মেশানো যাবে।
5️⃣ হালকা গরম থাকতে থাকতেই শিশুকে খাওয়ান।
আপনার বাচ্চা যদি মিষ্টি না হলে খেতে না চায় তাহলে সেরেলাকে গুর অথবা তালমিসরি দিয়েও রান্না করতে পারবেন।
এখানে আপনি প্যাকেটের দুধও ব্যাবহর করতে পারেন আবার খাটি গরুর দুধও ব্যাবহার করতে পারে। আবার সুধু পানি দিয়েও সেরেলাকটি রান্না করতে পারবেন।
📝 মনে রাখার বিষয়:
🔹 খাবারের সাথে কলা, আপেল বা সফেদা মেশানো যাবে।
🔹 চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করুন, এটি স্বাস্থ্যকর।
🔹 ১ বছরের নিচে শিশুকে বাদাম না দেওয়াই ভালো।
🔹 ৮ মাসের কম বয়সী শিশুদের ডাল খাওয়ানোর আগে খুব নরম করে রান্না করুন, যাতে সহজে হজম হয়।
✅ এভাবে ঘরেই স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ শিশুখাদ্য তৈরি করুন, বাচ্চার পুষ্টি নিশ্চিত করুন!
কোন মন্তব্য নেই: